সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে পিকআপ ভর্তি ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২হাজার ৪শত ২৯ বোতল মদ জব্দ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কাঞ্চন চক্রবর্তী এ মদের চালান আটক করেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আসাদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিকআপ ভর্তি মদের চালান থানায় নিয়ে আসেন।
এএসআই কাঞ্চন চক্রবর্তী জানান, রাতে খবর পাই ভোলাগঞ্জ রোড দিয়ে কিছু চোরাকারবারি ভারতীয় মাদক নিয়ে যাবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর টহল ও সোর্সের মাধ্যমে খবর নিতে থাকি। ভোর সাড়ে ৫ টায় মদ ভর্তি গাড়িটি রাস্তায় তাড়া করি। তখন ট্রাকটি ভোলাগঞ্জ উত্তর পাড়ার (গুচ্ছগ্রাম) একটি পাথর ভাঙ্গার টমটম মেশিনের সাইডে রেখে ড্রাইভার সহ সবাই পালিয়ে যায়। পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই।
সূত্রে জানা যায়, একটি চক্র ভোলাগঞ্জকে মাদক চোরাচালানের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলছে।
পুলিশের তালিকায় ভোলাগঞ্জ ও এর আশপাশ মাদক চোরাচালানের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানা বিভিন্ন সময় ভোলাগঞ্জ ও এর আশপাশ থেকে ভারতীয় মদ জব্দ করলেও চক্রটিকে হাতেনাতে আটক করতে পারছেনা। ভোলাগঞ্জ সীমান্তের পাশেই কালাসাদক বিওপি ক্যাম্প ও ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাড়ি। তারপরও মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম থামছেনা এখানে। সূত্রে আরও জানা যায়, চিকাডহর ও নারাইনপুর গ্রামের পাশেই অবস্থিত ভারতীয় সীমান্তে কাটাতারের বেড়ার কিছু অংশ অরক্ষিত ও ভাঙ্গা থাকায় মাদক কারবারিরা মাদক চোরাচালানের সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে। এছাড়াও ভোলাগঞ্জ জিরো লাইন সাদা পাথরের পশ্চিমাংশের কমলাঘাট নামক স্থান দিয়েও মাদক চোরাচালানের ঘটনা ঘটে। প্রায়সই বিজিবির চোখ ফাকি দিয়ে কিংবা বিজিবির কিছু সোর্সকে ম্যানেজ করে মাদকের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভারতীয় এসব মাদক পিকআপ, ট্রাক ও ছদ্মবেশি পর্যটকবাহী প্রাইভেটকারে চেপে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে যাচ্ছে। প্রায়শই বিজিবি ও পুলিশের চেকপোস্ট কিংবা মাদক কারবারিদের ধাওয়া করে মাদক আটকের খবর পাওয়া গেলেও অধিকাংশ চালান নিরাপদেই গন্তব্যস্থলে পৌছে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় ট্রাক ভর্তি মদ আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।