সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি বাড়িতে শাহ আরফিন টিলার পাথর রাখার অপরাধে বসতঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যবহৃত মিটার খুলে নিয়ে যায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমাইয়া ফেরদৌস।
শুক্রবার দুপুর সারে ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এসব বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যান তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরাতন জালিয়ার পাড় গ্রামের হাজী তেরা মিয়া ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ফয়জুর রহমানের বসত বাড়ির ভেতরে শাহ আরফিন টিলার অবৈধ পাথরের সন্ধান পায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে বসত বাড়িতে এসব পাথরের সন্ধান পাওয়ায় বসতঘরের ৫টি মিটার খুলে নিয়ে যায়। সহকারী কমিশনার ভূমি ছাড়াও অভিযানে অংশ নেন কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক অরুপ সাগর।
মিটার সংযোগ খুলে নিয়ে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, আমার বাড়িতে মাত্র ৫/৬ ফুট পাথর ছিল। এ গুলো ছোট-ছোট শিশুরা কুড়িয়ে এনে বাড়িতে রেখেছিল। আর এই অপরাধে আমার বসত ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সহকারী কমিশনার। এটা আমাদের জন্য অবিচার করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বসতি রহিমা বেগম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আলোর অভাবে ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া বন্ধ করে দিবে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যে অপূরনীয় ক্ষতি হবে তার দায়ভার কি তারা নিতে পারবে?
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুমাইয়া ফেরদৌস প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য রয়েছে শাহ আরফিন টিলার পাথর উত্তোলন করছে একটি চক্র। ওনার নির্দেশে আজকে অভিযান দিয়েছি। সত্যতা পাওয়ায় ৫টি ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তি সিদ্ধান্ত ইউএনও সাহেবে নিবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, সরকারের নির্দেশ অমান্য করে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।