সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ও ছত্রাক সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো কৃষকের স্বপ্নের সোনালী বোরোধান ফসল। ছত্রাক সংক্রমণে সৃষ্ট ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ ও দমনে কৃষক পর্যায়ে এক সেমিনারের আয়োজন ও মাঠ দিবস পালন করেন কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বিপনন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার (NAC)। গতকাল শনিবার বিকাল ০৫টায় উপজেলার মোস্তফার নগর ইসলামী সংগঠন অফিসের সামনে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের সামনে সঠিক বালাইনাশক প্রয়োগ পদ্ধতি ও আধুনিক ফসল উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর খোলামেলা আলোচনা করেন ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার শ্রীমঙ্গল ডিপোর রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার ফেরদৌস আলম।
আলোচনায় ফেরদৌস আলম বলেন, সঠিক বালাইনাশক প্রয়োগে ব্লাস্ট নিয়ন্ত্রণ ও
মাজরা পোকা দমন সম্ভব। এজন্য আমাদেরকে বাজারের হাজারো বালাইনাশক না খুজে সঠিক বালাইনাশকটি নির্বাচন করতে হবে। NAC নিয়ে এসেছে চতুর্থ প্রজন্মের ছত্রাক নাশক ”বীর” ও “টিপঅফ” এবং মাজরা দমনে “কার্টাপ্রিড”। তিনি আরও বলেন, NAC পণ্য ফসলী জমিতে প্রয়োগ রোগ ও পোকা দমনের পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় কৃষক ও মুরুব্বি আলা উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কৃষি উদ্যোক্তা সাংবাদিক শের তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কৃষক গাজি মিয়া, সামসুল হক, সাধু মিয়া, গোলাপ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, আয়েত আলী ও আইনুল হক। ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়,প্রতিরোধ ও দমনে গঠনমূলক আলোচনায় অর্ধ শতাধিক কৃষক জানান গত কয়েক বছর যাবত ধান ফসল ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেও সঠিক কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এবছর ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কোম্পানির ছত্রাকনাশক বীর ও টিপঅফ আক্রান্ত জমিতে স্প্রে করার ফলে শতভাগ উপকৃত হয়েছেন তারা। উপস্থিত কৃষকরা এ সময় ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কোম্পানির বিভিন্ন কৃষি পণ্য ব্যবহারে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. মহি উদ্দিন, কৃষক সাহাব উদ্দিন, রাসেল আহমদ, মাসুম আহমদ, দ্বীন ইসলাম, মাসুক মিয়া প্রমুখ।