গতকাল ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৪০টি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৪২ জন। চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শামিম আহমদ (মোটরসাইকেল), মজির উদ্দিন (আনারস) ও রশিদ আহমদ (ঘোড়া)।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চমক দেখিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী শামিম আহমদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন মজির উদ্দিন। মজির উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ২৮ হাজার ২৭৮ । বেসরকারি ভাবে মজির উদ্দিনকে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুঞ্জিত কুমার চন্দ। শামিম আহমদের প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ২১৩। অপর প্রার্থী আবুল মনসুর রশিদ আহমদ পেয়েছেন ১০ হাজার ২৫৮ ভোট। মাত্র কয়েক মাসের প্রস্তুতিতে বিশাল চমক দেখিয়ে হেভিওয়েট চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামিম আহমদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি।
নির্বাচনে পথসভায় মজির উদ্দিনকে নিয়ে বাকযুদ্ধে মেতে ছিলেন দুই প্রার্থীর সমর্থক আব্দুল ওয়াদুদ কাজী আলফু মিয়া ও আপ্তাব আলী কালা মিয়া। প্রতিটি পথসভায় দুই পক্ষের বাকযুদ্ধে আঞ্চলিকতা ও একেঅপরকে ঘায়েল করেছে। এতেকরে নির্বাচনে ভোটাররা কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় ছিল। নির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়। পাড়ুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে বেলা তিনটার সময় শামিম আহমদ তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজির উদ্দিন ও তার ভাই রমিজ উদ্দিনের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পরেন। কিছুক্ষণের জন্য কেন্দ্র ভোট কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তবে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আবারও ভোট কার্যক্রম চালু করেন।
বিকাল ০৪ টা পর্যন্ত উপজেলার ৪০টি সেন্টারে মোট প্রদত্ত ভোট ৬১ হাজার ৭৫৬ ভোট। বাতিলকৃত ভোট ১ হাজার ৯৭০। বৈধভোট ৫৯ ভোট ৭৮৬। মোট ভোটের ৫১ দশমিক ৪৯ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়কে কেন্দ্র করে শামিম আহমদ শামিম পক্ষের লোকজন মজির উদ্দিনের পক্ষের সমর্থককে মারধর এবং পরবর্তিতে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে সড়কে মহড়া দেন। নির্বাচন পরবর্তি উপজেলা সদরের আব্দুল ওয়াদুদ কাজী আলফু মিয়াকে কটাক্ষ করে মিছিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরদিন বুধবার বেলা ১২টায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান অবস্থা তৈরি হয়। পরবর্তিতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।