সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বারকি শ্রমিকদের পক্ষে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বারকি বন্ধনের ডাক দিয়েছে দুটি সংগঠন। শনিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের সময় পূর্ব ঘোষিত তৃণমূল বিএনপি নেতা সাংবাদিক আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ইউএনও এর বিরুদ্ধে বারকি বাচাও আন্দোলনের ব্যানারে বারকি বন্ধনের ডাক দিয়েছিল। শনিবার যথাসময়ে সেই আন্দোলন বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এবার আবুল হোসেনের সেই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে আরেক শ্রমিক সংগঠন। এবার কোম্পানীগঞ্জ বারকি শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে একই সময়ে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। বারকি শ্রমিক সংগঠনের আলোচ্য বিষয় “পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ”।
গত সপ্তাহের বুধবার বিকালে ধলাই নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় ইউএনওর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে নানান ভুলভ্রান্তি ও মিত্যাচারের আশ্রয় নিয়ে কথিত বারকি শ্রমিকদের সামনে রেখে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন আবুল হোসেন। বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়েছেন আবুল হোসেন।
এদিকে কালিবাড়ি গ্রামের জাফর মিয়া নামে এক বারকি শ্রমিক নেতার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ বারকি শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। জাফর মিয়া জানান, আবুল হোসেন পুলিশের বিশেষ এক কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে কথিত শ্রমিক আন্দোলন চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবত পুলিশকে চাঁদা দিয়ে রাতের বেলায় পাথর পরিবহন করে আসা শ্রমিকরা বুজতে পেরেছে আবুলের এই আন্দোলনের ফলে পুলিশের চাঁদাবানিজ্য আরও বাড়বে। আমরা চাঁদা দিয়ে আর বারকি চালাবো না। তাই পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে যে বা যাহারা চাঁদাবাজিতে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি আরও জানান, বারকি নৌকা প্রতি এক হাজার থেকে তেরশত টাকা চাঁদা দিতে হয় পুলিশকে। এভাবে চাঁদা দিলে আমাদের কিছুই থাকেনা। তাই আমাদের আন্দোলন হচ্ছে, বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে সব ধরনের চাঁদা বন্ধ করতে হবে। চাঁদা বন্ধ হলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করবো।
একই স্থানে মুখোমুখি দুই সংগঠনের কর্মসূচী ঘোষণায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলী। তিনি জানান, আবুল হোসেন নির্বাচনে হেরে মানষিক রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। কখন কি করে বসে তার হিসাব নাই। সে চাচ্ছে প্রশাসন প্রশাসনের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক। গত কয়েকদিনে যাবত তার ফেসবুক লাইভ দেখে আমরা বুজতে পারছি সে শ্রমিকদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর বলেন, আমরা দুই পক্ষকে বলেছি কর্মসূচী স্থগিত রাখতে। মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি গোলাম দস্তগীর বলেন, ঝামেলা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ ১৪৪ ধারা জারী করতে পারে।
সম্ভাব্য সংঘর্ষ থামাতে ১৪৪ ধারার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, মুখোমুখি অবস্থান নিলে কর্মসূচীস্থলে ১৪৪ ধারা জারী করবো।