surmavoice24.com
সিলেটরবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৫৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধলাই নদে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের মানব বন্ধন


জুন ৮, ২০২৪ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোম্পানীগঞ্জে বারকি শ্রমিক আন্দোলনে বিভক্ত হয়ে সমাবেশ করলেন দুইটি পক্ষ। শনিবার দুপুর ২টার সময় তৃণমূল বিএনপি নেতা আবুল হোসেনে নেতৃত্বে বারকি বাচাও আন্দোলন ও জাফর মিয়া নামে এক বারকি শ্রমিকের ডাকে কোম্পানীগঞ্জ বারকি শ্রমিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচী পালন করেন। বেলা সারে ১২টায় আবুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি ধলাই ব্রীজের নিচে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী পালনের ডাক দিলে স্থানীয়রা এতে বাধা দেয়। স্থানীয় বাধার মুখে আবুল হোসেনের কার্যক্রম পন্ড হয়। পরবর্তিতে ইসলামগঞ্জ বাজারের নিকটে গোপনে স্থানীয় ১৫/২০ জনকে নিয়ে নৌকায় বসে প্রতিবাদ সভা কার্যক্রম শেষ করেন। এদিকে জাফর মিয়া শারীরিক ভাবে অসুস্থ অনুভব করলে সুক্কুর মিয়া নামে এক শ্রমিক নেতার নেতৃত্বে ধলাই ব্রীজের উপর পুলিশের চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভে স্থানীয় শতাধিক বারকি শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, শ্রমিকরা বারকি নৌকা দিয়ে পাথর আনতে গেলে একটি পক্ষ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজী করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই চাঁদাবাজ মুক্ত হোক ধলাই নদী। নদীতে চাঁদাবাজ থাকলে আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবেনা।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল বিএনপি নেতা আবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দের প্রতি ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন সভা সেমিনারে আবুল হোসেনের ভাষ্য, ইউএনও সাহেব বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেন। তবে বিভ্রান্তিকর কিছু বক্তব্য দেওয়ায় এলাকায় শ্রমিকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বারকি বাচাও আন্দোলনের আড়ালে আবুল হোসেন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান ইমরান মিয়া নামে এক বারকি শ্রমিক। সাম্প্রতিক সময়ে আবুল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি দিয়ে লাইভ সম্প্রচারে বক্তব্য দেন যে, গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার বিকালে ইউএনও একটি চিপ পাথরবাহী বারকি নৌকা ডুবিয়ে ফেলেছে। সেই লাইভে ডুবানো নৌকাকে চিপপাথর বাহী বলা হলেও পরবর্তিতে ০২ জুন বিকালে কলাবাড়ি পয়েন্টে একই ঘটনায় ডুবানো নৌকাকে লাকড়ির নৌকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও একাধিক লাইভে ইউএনওকে নরপশু,খমিনের বাচ্চা বলে গালাগাল করা সহ বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় আবুল হোসেনকে নিয়ে ইতোমধ্যে কলাবাড়ি গ্রামের বারকি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তোজনে সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নাম ভাঙ্গানো সেই চক্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা এক শ্রমিককে দেখে নেওয়া এবং মামলার হুমকি দেন ভোলাগঞ্জ ফাড়ির এএসআই জাহিদ আহমদ। ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুব লীগ সভাপতি ও শ্রমিক নেতা শাহিন আহমদ এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় প্রকাশ্যে হুমকির শিকার হোন বলে জানান।

শ্রমীক লীগ নেতা আতাবুর রহমান জানান, গত পরসু জুনায়েদ ও রিপন মিয়া নামে দুই শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করেন এএসআই জাহিদ আহমদ।

পুলিশ কর্তৃক আন্দোলন কর্মীকে মামলার হুমকির বিষকে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর বলেন, চিন্তা কইরেন আমি সব ঠিক করে দেব।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।