সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে তৃণমূল বিএনপি নেতা আবুল হোসেন নেতৃত্বাধীন বারকি বাচাও আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতে। এরই মধ্যে ৬টি নৌকা ও ১৭ জন বারকি শ্রমিককে আটক করে মামলা দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।খনিজ (পাথর) সম্পদ চুরির অপরাধে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নং ০৮। সোমবার সকালে আটক ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। রোববার রাতে বারকি নৌকা দিয়ে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে আসাকালে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই সফিউল আলম অভিযান দিয়ে ৯টি নৌকা এবং ১৭ জন শ্রমিককে আটক করেন। পরবর্তিতে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে ০৬টি নৌকা দিয়ে ১২০ ঘনফুট সাদা পাথর নিয়ে কালাইরাগ এলাকা দিকে যাচ্ছিলেন ১৭ জন বারকি শ্রমিক। পাথর পরিবহনকালে হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়।
জেলহাজতি শ্রমিক পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, সে রাতে পুলিশ লাইন দিয়েছিল। হঠাৎ বোঝাই পাথর নৌকা সহ আটক করে সবাইকে ফাড়িতে নিয়ে যায়৷ এরপর সবাইকে বলা হয় থানায় গিয়ে মুচলেকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ভুলিয়েভালিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আটক দেখানো হয়।
আব্দুর রউফ নামে এক বারকি শ্রমিক জানান, সাংবাদিক আবুল হোসেন বারিক বাচাও আন্দোলন না করলে পুলিশের এই ধরপাকড় শুরু হইতো না। সামনে একটা ইদ। যারা জেলে আছে তাদের পরিবারের সবাই কিভাবে ইদ করবে?
এদিকে, বন্যাচলাকালীন গত কয়েক দিনে ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট থেকে কয়েক লক্ষ ঘনফুট সাদা পাথর চুরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে একটি সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পালন করেছে। তৃণমূল বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের নেতৃত্বে আরও একটি সংগঠন বারকি বাচাও আন্দোলন চালাচ্ছে। বারকি বাচাও আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচীতে নড়চড়ে বসে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাড়ি।