ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ও রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকা থেকে পাথর লুটপাটে বাঁধা দেওয়ায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের উপর পাথর লুটেরা কর্তৃক হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই শরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লিলাইবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশের উপ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এবং জরুরী মোবাইল ডিউটিতে ছিলেন এএসআই হাবিবুল্লাহসহ ৬ পুলিশ সদস্য। সকালে ধলাই পূর্ব পাড়ের লীলাই বাজার এলাকায় সাদাপাথর ও বাংকার থেকে পাথর লুটপাট করে গাড়িতে লোড করা হচ্ছে এমন সংবাদে তারা গাড়ি আটক করতে যান। এসময় সেখানে পাথরবাহী ২টি ট্রাক্টর ও ৩ টি ট্রলি আটক করেন শরিফুল ইসলাম ও হাবিবউল্লাহ। গাড়ি আটকের ঘটনায় ক্ষুব্ধ পাথর ব্যবসায়ীরা লাঠি ও বেলচা দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন এসআই শরিফুল ইসলামকে। এসময় হামলাকারীরা পাথরবাহী ট্রাক্টর ও ট্রলিগুলো
সেখান থেকে নিয়ে যায়। বেলা ১টায় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে সংদিগ্ধ ৪ জনকে আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন- কলাবাড়ি গ্রামের নাঈম, কালীবাড়ি গ্রামের ফখর উদ্দিন, রাধানগর গ্রামের
ইমরান আহমদ মজিব ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সৈকত দাস।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট পরবর্তী ভোলাগঞ্জ পর্যটন কেন্দ্র ও রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকা থেকে প্রকাশ্যে পাথর লুট করছে একটি চক্র। পাথর লুটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আরেকটি চাঁদাবাজ চক্র। প্রশাসনকে ম্যানেজের নামে এই চক্রটি পাথরবাড়ি বাড়কি নৌকা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে আসছে। এর সাথে জড়িত থানা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, রাজনীতিবীদ ও শ্রমিক নেতা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারনে এই চক্রটিকে ঘিরে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে ভোলাগঞ্জ এলাকায়। লিলাইবাজার এলাকার আশেপাশে প্রতিদিন শতশত বারকি নৌকা থেকে পাথর পরিবহন ও বিপনন হচ্ছে।