আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে মতিয়া চৌধুরীকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতিয়া চৌধুরীর বোন মাহমুদা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। কয়েকদিন আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৯৯৬, ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ দলটির ১ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন মতিয়া চৌধুরী। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়ে কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
ইডেন কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মতিয়া চৌধুরী। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। এর দুই বছর পর ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছাড়াও প্রচারণা, তদবির ও আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত মতিয়া চৌধুরী।