ফাতেমা বেগম, বয়স ২৫ বছর পেরিয়েছে। স্বামীকে নিয়ে ভোলাগঞ্জ এলসি ঘাটে চুনাপাথর ভাঙ্গার মেশিনে শ্রমিকের কাজ করে। দৈনিক মুজুরি ৫/৬ শত টাকা। স্বামীসহ দুইজনের দৈনিক মজুরি পরে ১০০০-১২০০ টাকা।
মো. ফারুক হোসেন, বয়স ৫০ বছর। পাশের আরেকটা চুনাপাথর ভাঙ্গার মেশিনে কাজ করেন। প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ স্বামীকে মাথায় পানি ঢালছে শ্রমসঙ্গী স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।
সীমান্ত উপজেলা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ পাথর শ্রম পেশায় জড়িত। ফাতেমা বেগম, ফারুক হোসেন ও রাবেয়া খাতুনের মতো এ উপজেলায় অধিকাংশ মানুষই পাথর শ্রমের উপর নির্ভরশীল।
শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ অঞ্চলে নেই বললেই চলে। পাথর ক্রাশিংয়ের সময় বাতাসে উড়ছে ধুলোবালি। শ্রমিকরা এই ধুলোবালুতে মাক্স বিহীন কাজ করছে। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে ধুলোবালি ভেতরে প্রবেশ করছে। হেন্ডগ্লাবস কিংবা কর্মকালীন কোনো পোশাক পড়ে না অত্র অঞ্চলের শ্রমিকরা। স্বাস্থঝুকির মধ্যেও পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে ঝুকির পেশা পাথর শ্রমিকের কাজ করছেন অত্র অঞ্চলের হাজারো শ্রমিক।
রাবেয়া খাতুন জানান পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে স্বামীরে নিয়া কামে আইছি। আমরার কোনো দিবস-টিবস নাই।
সোমবার (১ মে) শ্রমিকদের জন্য প্রতি বছর এ দিন ‘মে’ দিবস পালিত হয়ে থাকে। এ বিষয়ে শ্রমিক ছগির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দিবস দিয়া কি অইবে…। আমরার কাজই বড়। কাজ না করলে খামু কি?
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিকদের দাবী আদায়ে বড় কোনো সংগঠন নেই। শ্রমিকদের কোনো কর্ম ঘণ্টা নেই। দৈনিক ১০/১১ ঘণ্টা কাজ করলেও যেন দেখার কেউ নেই।