surmavoice24.com
সিলেটরবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৫৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোরবানির আগে জিরার ঝাঁঝ


জুন ২৮, ২০২৩ ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আদার দাম কেজিতে একদিনে বেড়েছে ৫০ টাকা; জিরার দাম ১ হাজার টাকা ছুঁয়েছে, রসুনের দামও বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ থেকে ১০০০ টাকায়। তিন মাস আগেও পণ্যটি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকার নিচে।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকার খুচরা ও পাইকারি বাজারে অস্থির হয়ে উঠেছে জিরার দাম।

সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে প্রতিকেজি জিরার দাম ২০০ টাকা বেড়ে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি আদার দামও একদিনে বেড়েছে ৫০ টাকা; সোমবার বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকায়। আর প্রতিকেজি রসুনের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তবে গরম মসলার অন্যান্য উপকরণের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, মিরপুর শাহ আলী কাঁচা বাজার ও রূপনগর সোনার বাংলা কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী আলী হোসাইন ডটকমকে বলেন, মসলার বাজারে জিরার দাম মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা বেড়ে মানভেদে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

“এটা ভারতীয় জিরা হলেও উৎকৃষ্ট মানের নয়। এখন আগের মতো উন্নত মানের জিরাও আমদানি হচ্ছে না।”

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পাইকারি বাজারে দাম বাড়ালে আমাদেরও সেই অতিরিক্ত দামেই বিক্রি করতে হয়।”

কিচেন মার্কেটের পাইকার আক্তার হোসেনের কাছে জিরার দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বললেন, “আমি চকবাজার থেকে মসলা আনি। সেখানে প্রতিকেজি জিরায় ২০০ টাকা বেড়েছে। বাধ্য হয়ে আমাদেরও বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।”

কারওয়ান বাজারের আদা ও রসুনের পাইকার রবিউল ইসলাম রকি জানালেন, রোববার ভালো মানের প্রতিকেজি আদার দাম ছিল ৩০০ টাকা। কিন্তু পরদিনেই তা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গতকাল (রোববার) মাল বেইচা শ্যামবাজারে ফোন দিয়ে মালের অর্ডার দিলে বলে মালের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেশি। আমি তো বেকুব হয়ে গেলাম!

“আমার মালটা না বেইচা রাইখ্যা দিলেই আইজকা আমি লাল হইয়া যাইতাম ভাই।”

রকির ভাষ্য, কয়েক মাস ধরে চীনা আদা আমদানি বন্ধ রয়েছে। তার ফলে দেশীয় ফসলের উপর এখন নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে মিয়ানমারের কিছু আদাও বাজারে আছে।

একই বাজারের আরেক পাইকার সাদ্দাম হোসেন জানালেন, আদার পাশাপাশি রসুনের দামও মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি রসুনের দাম ছিল ১৫০ টাকা, সেটা এখন মান ভেদে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে মসলা কিনতে আসা চাকরিজীবী জাকির হাসান বলেন, “আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা রক্তচোষা। কোনো একটা উপলক্ষে পাইলেই তারা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে। সাধারণ মানুষ কিনতে পারবে কি না- এই চিন্তা এদেশের ব্যবসায়ীদের নেই।

“সামনে ঈদুল আজহা। আমাদের অবশ্যই মসলা লাগবে। এই সুযোগ নিয়ে এবার আদা, জিরাসহ বেশ কিছু জিনিসের দাম বাড়িয়েছে।”

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়, দারুচিনি ৪৩০ থেকে ৪৮০ টাকায়, গোলমরিচ ৬৫০ থেকে ৭৩০ টাকা, লং ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকায়, কাজু বাদাম ১৩০০ টাকায়, কাঠবাদাম ৭৫০ টাকায়, আলু বোখারা ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়, দেশি বাদাম ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়, কিশমিশ ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকায় এবং জয়ত্রি ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।