সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় চিনি আনতে গিয়ে তিন বাংলাদেশী শ্রমিককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা। শনিবার বিকেলে ৪ টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
বিএসএফের হাতে আটকরা হচ্ছেন, মাঝেরগাঁও গ্রামের মৃত মঙ্গাই মিয়ার পুত্র জহির মিয়া ( ৩৪), মাঝের গাঁও বাগানবস্তির আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মাসুম মিয়া (২৮) এবং একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আল আমিন (৩০)।
সূত্রে জানা যায়, তৈয়ব আলী ও হেলাল নামে বিজিবির কথিত দুই লাইনম্যানের নির্দেশে ১২৫৫ পিলারের কাছ দিয়ে ভারতীয় চিনি আনতে যায় ২০/৩০ জন শ্রমিক। ভারতীয় চিনি আনার পেছনে পুলিশের কথিত লাইনম্যান তোফায়েলেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সেই সূত্র জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিনি চোরাচালানের এক সদস্য জানান, বিকালে ২০/৩০ জন শ্রমিকের সাথে ১২৫৫ পিলার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সে নিজেও। সে গ্রুপে আটক তিন ব্যক্তিও ছিল। সে সময় ভারতীয় খাসিয়ারা ধাওয়া করলে সবাই পালিয়ে যায়। এ সময় খাসিয়াদের কাছে মাসুম,জহির ও আল আমিন আটক। আটক করার পর খাসিয়ারা তাদেরকে মারধর শুরু করলে আটককৃতদের আর্তচিৎকারে বিএসএফ তাদের উদ্ধার করে নিজেদের জিম্মায় নেয়। বর্তমানে তারা বিএসএফের জিম্মায় রয়েছে।
আটক আল আমিনের চাচা সামসুল হক প্রতিবেদককে জানান, শুনেছি আল আমিন ভারতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক রয়েছে। সেখানকার দালালের মাধ্যমে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ছাড়ানো যায়নি। তাদের আদালতে সোপর্দ করবে বলে জানান তিনি।
চিনি চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্ট ও বিজিবির কথিত লাইনম্যান হিসেবে পরিচিত হেলালে ব্যাক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায় এবং বিজিবির আরেক লাইনম্যান খ্যাত তৈয়ব আলীর ব্যাক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
পুলিশের লাইনম্যান খ্যাত তোফায়েলকে চিনি চোরাচালানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করায় প্রতিবেদককে হুমকি প্রদর্শন করে বলেন, তুই কিয়ের (কিসের) সাংবাদিক? আমি তোরে (তুকে)চিনি না। এরপর তিনি প্রতিবেদককে বিস্রি ভাষায় গালাগাল করে ফোন কেটে দেন।
উৎমা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত আল আমিনকে ফোন দিলে তিনি জানান, শুনেছি তিন জন বিএসএফের হাতে আটক। এর বেশি কিছু সংবাদ পায়নি। তবে সংবাদ পেলে জানাবো।