২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চাকরির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু আগামী ৩০ আগস্ট ছুটিতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে ৩০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শেষ কর্মদিবস হিসেবে বিবেচিত হতে যাচ্ছে। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর পর নতুন প্রধান বিচারপতি কে হবেন সেটি নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সরকার এ সময় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করবে না। প্রধান বিচারপতির পর যিনি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনিই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাবেন। সে হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
আইন পেশা এবং বিচারক পেশায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
এ ছাড়াও তিনি সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন তিনি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
ওবায়দুল হাসান ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন তার সহকর্মী বিচারকদের সাথে ১১টি মামলার রায় প্রদান করেন। পরবর্তিতে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।