চুরি, ডাকাতি,চোরাচালান ও সীমান্ত পেরিয়ে আসছে ভারতীয় খাসিয়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় মাদক ও ভারতীয় অবৈধ পণ্য অবাধে প্রবেশের একটা সুযোগ রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, পূর্বে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট। উত্তরে ভারতের মেঘালয় ও দক্ষিণে সিলেট সদর উপজেলা। ভারত-বাংলাদেশ দীর্ঘ সীমান্ত থাকায় চোরাচালান ও মাদক কারবারিরা তাদের অবৈধ সব কর্মকান্ড চালাতে সহজ হয় । এর মধ্যে ঝুকিপূর্ণ সীমান্ত ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের নারাইনপুর ও ভোলাগঞ্জের কালিডহর এলাকা। উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের বরমসিদ্দিপুর, কামালবস্তি (বনপুর) ও তুরং এলাকা। সীমান্তবর্তী এসব এলাকা কাটাতারের বেড়ার অনেক স্থানে ঝুকিপূর্ণ ও অরক্ষিত। অনেক স্থানে কাটাতারের বেড়ার নিচে বর্ষার পানি সড়ানোর জন্যে পাইপ বসানো আছে। এসব ঝুকিপূর্ণ অরক্ষিত ও পানির পাইপ দিয়ে মাদক ও চোরাকারবারীরা দেদারসে মারননাশক ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও মদ নিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বরমসিদ্দিপুর গ্রামের এক যুবক জানান, ভারত সীমান্ত ঘেষা গড়ে উঠা বড়পুঞ্জি বাজারটি কভিড ১৯ এর কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সে বাজার আবারও চালু হয়েছে। সে বাজারে প্রকাশ্যে ভারতীয় মদ ও বিয়ার বিক্রি চলে। সীমান্ত এলাকার মাদকসেবীরা অনায়াসেই সেখানে মাদক সেবনের জন্যে যাওয়া আসা করে। এছাড়াও সে বাজার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় নকল প্রসাধনী ও চিনি,চকলেটের চোরাচালান সীমান্ত পেরিয়ে আসে বাংলাদেশে। সেসব নকল প্রসাধনী ও চকলেট চলে যায় ভোলাগঞ্জ পর্যটন ঘাটে স্থাপিত অস্থায়ী বাজারে। আর চিনির চোরাচালান চলে যায় স্থানীয় টুকের বাজার,দয়ার বাজার ও থানা বাজারের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মুদি দোকানে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় বিজিবি চেকপোস্টের দায়িত্বরত জওয়ানকে ম্যানেজ করেন স্থানীয় দালাল বা সোর্স। এছাড়াও অভিযোগ আছে স্থানীয় থানা পুলিশের অসাধু এক কর্মকর্তা মাসিক চাঁদা নেন এই বড় পুঞ্জি বাজার থেকে। সেই কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন স্থানীয় এক যুবক। ভারতের অভ্যন্তরীণ এই বাজারটি নিয়মিত নিলাম করা হয় অবৈধভাবে। বিনিময়ে চোরাকারবারীরা বিশেষ সুযোগ পায়। সম্প্রতি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি সিলেট উত্তর ৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ সীমান্ত এলাকার এক চোরাকারবারীকে আটক করেন। পরবর্তিতে আটককৃত ব্যাক্তির স্বীকারোক্তি মতে চিনি চোরাকারবারী জামাল সহ আটক ব্যক্তিদের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন ডিবি সিলেট। বিগত এক মাস যাবত সীমান্তে পেরিয়ে বানের পানির মতো ভারতীয় অবৈধ সব পণ্য ও মাদক আসছে বাংলাদেশে। গত এক মাসের এসব চোরাকারবারীদের বিরত কিংবা পণ্য সমেতে আটকের কোনো নজির নেই কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের। গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মাদক মামলা হয়েছে ৬৬ টি। ভোলাগঞ্জের কালিডহর ও চিকাডহর সীমান্তের ফাঁক দিয়ে মাদক চালান আসলেও আটকের নজির খুব কম। তবে বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় পণ্য আটক করার খবর মাঝেমধ্যে মিললেও, থামানো যাচ্ছেনা সেই চোরাকারবারীদের। দিনেদুপুরেই আসছে ভারতীয় অবৈধ সব পণ্য। এছাড়াও তুরং সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতীয় কসমেটিক্স,মাদক সহ গরু-মহিষ চোরাচালানীরা গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন রুট দিয়ে সিলেটের বিভিন্ন হাটে চলে যায়। সেই সাথে ভারতীয় অবৈধ খাসিয়াদের বাংলাদেশে অবাধ বিচরণ উপজেলার সীমান্তবাসী উদ্বিগ্ন।
থেমে নেই গরু চোরেরাও। পাল্লা দিয়ে গরু চুরি করছে সংঘবদ্ধ গরুচোরেরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে গরু। গত এক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গরু সহ তিন তিন চোরকে আটক করে দুইটি মামলা হয়েছে। গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজেলা থেকে আসা চোরেরা স্থানীয় দালালের মাধ্যমে রাতের আধারের গৃহস্তের গোয়াল ঘর থেকে গরু সরিয়ে নেয়। ইদানিং পিকআপযোগে চোর চক্র গোয়ালঘরে হাজির হয়। চোরাই গরু স্থানীয় পাইকারের কাছে অল্পমূল্যে বিক্রি করেন চোর চক্র। পাইকাররা ক্রয়কৃত চোরাই গরু নিজ বাড়িতে রেখে গোপনে জবাইয়ের উদ্দেশ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান ও মাংশ বিক্রেতা কসাইয়ের কাছে বিক্রি করার তথ্য মিলে।
থেমে নেই ট্রান্সমিটার চোরদের দৌড়াত্ব। গত এক মাসে প্রায় এক ডজন ট্রান্সমিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে কোম্পানীগঞ্জে। চুরির ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা হলেও কোনো চোর গ্রেফতার হয়নি।
উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরি যেন থামছেই না। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মোটর সাইকেল চুরি। গত মাসে পাঁচ ছয়টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে জনসমুখ্যে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। বিগত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটলেও মামলা হয়েছে মাত্র দুয়েকটি। মোটর সাইকেল চোর গ্রেফতার ও খোয়া যাওয়া সাইকেল উদ্ধার করা যায় না বলেই অনেকে থানায় মামলা দায়ের করতে অপারগ। গত মাসে উপজেলার টুকেরবাজার পয়েন্ট থেকে মুর্শেদ মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল সন্ধ্যা সারে সাতটা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার সব কয়টি পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথর ভাঙ্গার মেশিন গুলো অলস বসে থাকায় বছরের পর বছর ধরে ব্যবসায় লস গুনছে মেশিন মালিকরা। এরই মধ্যে বেড়েছে চুরির উপদ্রব। প্রতিদিন কোন না কোন স্টোন ক্রাশার মিলে যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই চোরেরা যেন নিরাপদ স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করে। স্টোন ক্রাশিং মেইলের মূল্যবান যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যাচ্ছে চুরেরা। এসব মূল্যবান জিনিসপত্র স্থানীয় ভাঙ্গারির দোকানে অল্পমূল্যেই বিক্রি করে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে সেব সব ভাঙ্গারির দোকানে থানা পুলিশের চোখ পড়লেও থেমে নেই ভাঙ্গারি দোকানে চুরাই পণ্য ক্রয় বিক্রয়।
গত ডিসেম্বরে জনবহুল সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের পাশে একটি অটোরিকশা শোরুমে ডাকাতি হয়। একই মাসে কোম্পানীগঞ্জ পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আরও একটি ডাকাতি সংগঠিত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জালালাবাদ থানা পুলিশের চেকপোস্টে ধরা পড়েন সেই ডাকাত চক্রের সদস্য। এ ঘটনার পরপরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়।
মাদক ব্যবসায়ী ,ভারতীয় অবৈধ পণ্য ও বিভিন্ন প্রকৃতির চোরদের সাথে মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতীয় অবৈধ উচ্চ গতি সম্পন্ন মোটর সাইকেল। সীমান্তের ভেতরে এবং বাইরে একটি চক্র রয়েছে যারা ভারত থেকে অল্পমূল্যে মোটর সাইকেল এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন। সীমান্ত এলাকার ছনবাড়ি,চিকাডহর,নারাইনপুর,পাড়ুয়া,
ভোলাগঞ্জ,টুকেরবাজার,থানা বাজার,কোম্পানীগঞ্জ,দয়ারাবাজার,ভাটরাই,কালাইরাগ,বালুচর,বরম সিদ্দিপুর,কামালবস্তি,তুরংয়ে ভারতীয় শতাধিক অবৈধ মোটরসাইকেল উচ্চ সাইরেন বাজিয়ে রাস্তা চলাফেরা করে। এদের মধ্যে অনেক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যও বর্ডার ক্রস নামীয় ভারতীয় অবৈধ মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। এসব মোটরসাইকেল অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সময় হাত বদল হয়।শুধু তাই নয় কয়েক শত নাম্বার বিহীন (অন টেস্ট) মোটরসাইকেল মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সীমান্তে চোরাচালানে এসব মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়। বড় বড় কয়েকটি চক্র রয়েছে যারা এসব চোরাই মোটর সাইকেল দিয়ে মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে।
থেমে নেই শাহ আরফিন টিলা ও ধলাই নদীতে চাঁদাবাজি। নিম্ন আয়ের মানুষজন শাহ আরফিন ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্পটে নুড়ি পাথর ও সিঙ্গেল সহ বিভিন্ন আকারের পাথর উত্তোলন করছেন দীর্ঘদিন থেকেই। আর এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে পূজি করে একটি চক্র গড়ে উঠেছে যারা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের নিরাপত্তার কথা বলে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহ আরফিন টিলার উত্তোলিত পাথর, ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে বাবুল নগর পয়েন্ট হয়ে নভাগী-বটেরতল-পাড়ুয়ার আলু ঘাট এলাকায় মজুদ করেন। সেখান থেকে ট্রাকে লোড দিয়ে পাড়ুয়া সাকেরার বিভিন্ন স্টোন ক্রাশার মিলে বিক্রি করেন কিছু পরিবহন মালিক। পাথর শ্রমিক ও পরিবহন মালিককে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ট্রলি প্রতি ৫০০ টাকা ও পাথর বোঝাই প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০০০ হাজার চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা বানিজ্য চলে পাথর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাথর শ্রমিকের বিশাল এই কর্মযজ্ঞে মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আর চাঁদার বিনিময়ে পুলিশি হয়রানি মুক্ত পাথর পরিবহন ও বিপনন চলে। রাতের আধারে ধলাই নদী থেকে উত্তোলিত পাথর বিপননকারী বারকি শ্রমিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা বানিজ্য চলছে দীর্ঘদিন। আর এই চাঁদা বানিজ্য গড়ে উঠার পেছনে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফারির এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে আছে। সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ভোলাগঞ্জ,কলাবাড়ি ও রাজনগরের একটা চক্র প্রতি রাতেই রোপওয়ে কিংবা ১০ নং এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করেন। বিনিময়ে সেই অসাধু কর্মকর্তাকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়, অভিযোগ পাথর উত্তোলনকারীদের। ভোলাগঞ্জ ফাড়ি থেকে পূর্ব দিকে কালি বাড়ি লিলাই বাজার নামক স্থানেও একই কায়দায় অসাধু সে কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পাথর উত্তোলন করছে আরেকটি চক্র। উত্তোলিত পাথর বিভিন্ন ক্রাশার মিলে বিক্রি করেন সেই চক্রটি। নিষিদ্ধ পাথর ক্রয় করেতে নিরাপত্তার স্বার্থে সেই পুলিশ সদস্যকে দৈনিক চাঁদা দিয়ে থাকেন স্টোন ক্রাশার মিল মালিকরা। পাথর রাজ্যে রাতের আধারে টাকা উড়ছে। মাস খানেক ধরে সীমান্তপাড়ের এই উপজেলায় ডিবি পুলিশ যেন ঘাটি গেড়েছে। পাথর লুটেরা ও চাঁদাবাজদের আটক করে মামলাও দিচ্ছেন। অন্যদিকে ডিবি পুলিশের ঘন ঘন অভিযান ও অনড় অবস্থানকে পূজি করে নতুন আরেকটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে অনুসন্ধানে তথ্য মিলে। তারা ডিবি পুলিশের ভয় দেখিয়ে পাথর উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ফাঁড়ির আশেপাশে চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব শুরু হয়েছে। বেড়েছে পাথরবাজী। সীমান্ত উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের মানুষজন চাঁদার বিনিময়ে কাজ করতে ভালবাসে। প্রশাসনের কথিত সোর্স কিংবা দালালকে চাঁদা দিলেও কারোরই বড় কোনো অভিযোগ অথবা অনুযোগ নেই। কোম্পানীগঞ্জের চিত্র অনেকটা “চাঁদা দিলে নিরাপত্তা মিলে”।
গত মাসে একটি মামলায় ২৫ জনকে আসামী করে ও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন ডিবি পুলিশ। এই ২৫ জনের মধ্যে অনেকেই নিরীহি দাবী করেন এবং প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও এই মামলার পরপরই ডিবি পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভয় দেখিয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে জড়ানোর প্রমান মিলেছে প্রতিবেদকের অনুসন্ধ্যানে। এর আরও কয়েকদিন পরে শাহ আরফিন টিলার উত্তোলিত পাথর পরিবহনের সময় একটি ট্রাক আটক করে মামলা দায়ের করেন ডিবি পুলিশ। কোনো এক অদৃশ্য কারনে সে মামলায় দায়ী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামী সবাই অজ্ঞাতনামা। পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্ট ফাকি দিয়ে পাথর চোর ও চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব দেখলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা দূর্বল ও অকার্যকর চিত্র ফুটে ওঠে। চুরি,ডাকাতি,মাদক চোরাচালান, ভারতীয় অবৈধসব পণ্য,চোরাই মোটরসাইকেল ও গরু-মহিষ চোরাচালান বৃদ্ধির ফলে সাম্প্রতিক কোম্পানীগঞ্জ যেন অপরাধীদের দখলে। চোরাচালান ও এসব অপরাধ রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উন্নতি প্রয়োজন। সীমান্তে নজরদারী বৃদ্ধি প্রয়োজন।
সিলেটের চোরাকারবারিদের নিরাপদ রুট এই কোম্পানীগঞ্জ। কারণ দূর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও অনিয়মিত নজড়দারির বেধ ভেঙ্গে চোরাকারবারিদের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সীমান্তের এই উপজেলাটি।
সাম্প্রতিক সংবাদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে গোয়াইনঘাট সার্কেল অফিসার প্রবাস কুমার সিংহ ও ডিবি সিলেট (উত্তর) ইনচার্জ রাফায়েত চৌধুরীর ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও কোনো রিপ্লে পাওয়া যায়নি। যার কারনে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।