তিন দাবি নিয়ে গণভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন তিনি।
সাংবাদিকদের সোহেল তাজ জানান, তাঁর দাবিগুলো হলো―১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সঠিক, পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা না করে আমি এখান (গণভবন) থেকে যাব না। দুই বছর ধরে একই দাবিতে গণভবনে স্মারকলিপি দিয়েছি।’
গণভবনের একাধিক প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তাঁকে গণভবনের ভেতরে গিয়ে বসার আহ্বান জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেন সোহেল তাজ।
গণভবনে যাওয়ার আগে সংসদ ভবনের সামনে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ চেয়েছিলাম।
যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে, মেধাভিত্তিক সমাজ হবে, দুর্নীতি থাকবে না, সবার শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার থাকবে। এমন একটি দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আমরা যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে আমাদের দেশ আরো ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হবে।’
দাবিগুলো কেন মানা হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এই দাবি করছি।
আমি জানতে চাই, এটা কেন করা হচ্ছে না? আমাকে উত্তর দিতে হবে। যদি উত্তর ন্যায়সংগত, যুক্তিসংগত হয় তাহলে আমি মেনে নেব। কিন্তু আমাকে বলতে হবে কেন দাবিগুলো মানা হচ্ছে না।’
সংসদ অধিবেশন চলায় প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে ফিরতে রাত হবে জানানো হলে সোহেল তাজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল আজকে ক্ষমতায়। তবু কেন আমার দাবিগুলো মানা হচ্ছে না এর উত্তর আমাকে দিতে হবে।
আমি গণভবনের বাইরেই অবস্থান নেব। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না নিয়ে আমি যাব না। এক দিন, দুই দিন, পাঁচ দিন লাগলেও আমি এখানেই বসে থাকব।’
পদযাত্রায় সোহেল তাজের সঙ্গে আরো অংশ নিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমেদসহ প্রহরী ৭১ নামে সংগঠনের কর্মীরা।